Dhaka Sunday, February 23, 2025

জবি শিক্ষার্থী

যৌন হয়রানি শিক্ষক হালিমের বিষয়ে সিদ্ধান্ত কাল


Published:
2020-09-06 13:18:00 BdST

Update:
2025-02-23 00:28:34 BdST

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২তম সিন্ডিকেট সভা বসছে আগামীকাল সোমবার। এই সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল হালিম প্রামাণিকের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হয়রানির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।

তিনি জানান, অধ্যাপক আবদুল হালিমের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্তে গঠিত একাধিক কমিটি সম্প্রতি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ৭৭তম সিন্ডিকেট সভায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগকারীরা রিভিউয়ের আবেদন করেন। এরই মধ্যে আবদুল হালিমের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ জমা পড়ে। সবগুলো অভিযোগ তদন্তে একটি উচ্চতর কমিটি করা হয়। এই কমিটি খুব সতর্কতার সঙ্গে কাজ করেছে। এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান উপাচার্য।

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে আবদুল হালিম প্রামাণিকের বিরুদ্ধে একাধিক যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তার শাস্তির দাবিতে আন্দোলন করেন। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে ওই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক চিঠিতে অধ্যাপক আবদুল হালিমকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিরস্কার করে। একইসঙ্গে দ্রুত ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেয়।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন তদন্ত সেলের প্রতিবেদনের আলোকে ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল ৭৭তম সিন্ডিকেট সভায় তাকে তিরস্কার ও দুই বছরের জন্য পদোন্নতি পিছিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘ চার বছরেও অধ্যাপক হালিমের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, এমন স্পর্শকাতর অভিযোগের তদন্ত ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে সময়ক্ষেপণ করা হলে অপরাধীরা পার পেয়ে যাবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নাট্যকলা বিভাগের তৎকালীন চেয়ারম্যান আবদুল হালিম প্রামাণিক একই বিভাগের এক ছাত্রীকে শ্রেণিকক্ষে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানি এবং তা প্রকাশ না করতে হুমকি-ধমকি দেন। পরদিন ওই ছাত্রী উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। একইদিন বিভাগের আরেক ছাত্রীও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ জমা দেন।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে অধ্যাপক আবদুল হালিমের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে বলে জানায়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে প্রশাসন ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের তৎকালীন চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে পুনরায় তদন্ত কমিটি করে। কিন্তু এই কমিটির তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন অভিযোগকারী দুই ছাত্রী। তারা দ্বিতীয় কমিটি অভিযুক্ত শিক্ষককে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য তাদের ওপর চাপ দিয়েছে উল্লেখ করে উপাচার্যকে চিঠি দেন। এরইমধ্যে ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৭তম সিন্ডিকেট সভায় হালিম প্রামাণিককে তিরস্কারসহ দুই বছরের জন্য পদোন্নতি পিছিয়ে দেওয়া হয়। তবে অপরাধের সঙ্গে এই শাস্তি অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং এর প্রতিবাদ জানিয়ে ওই বছরের ৩০ এপ্রিল দুই ছাত্রী পুনরায় তদন্তের অনুরোধ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্র্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেন। এরইমধ্যে একাধিক ছাত্রী তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন। এরপর প্রথম দুটি অভিযোগের রিভিউ কমিটি এবং নতুন অভিযোগ তদন্তে উচ্চতর কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।



Topic:


Leave your comment here:


Most Popular News
Top