Dhaka Sunday, February 23, 2025

ওয়াসায় হরিলুট

একদিনের পরামর্শক ফি ১৫ লাখ টাকা!


Published:
2020-09-09 21:42:10 BdST

Update:
2025-02-23 00:31:57 BdST

একদিন কাজ করলেই দেয়া হবে ১৫ লাখ টাকা। গল্প নয়, এটিই সত্যি। আসা যাওয়ার পথে বিমানে আকাশে থাকলেও পাবেন ১৫ লাখ টাকা। বিনা টেন্ডারে নজিরবিহীন এমন শর্তে কনসালটেন্ট নিয়োগ দিয়েছেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান।

যাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তিনি আবার প্রকল্প বাস্তবায়নকারী বিদেশি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক। পিপিআর লঙ্ঘন করে দেয়া এ নিয়োগের কিছুই জানা নেই বোর্ড সদস্যদের।

ঢাকা ওয়াসার সায়েদাবাদ পানি পরিশোধন প্রকল্প দ্বিতীয় ফেজের কাজ করে ফ্রান্সভিত্তিক কোম্পানি সুয়েজ ইন্টারন্যাশনাল। প্রকল্পের কাজ তদারকিতে কনসালটেন্ট বা পরমার্শক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ওই সুয়েজ ইন্টারন্যাশনালেরই এক পরিচালককে। নাম জ্যঁ ক্লদ সেরোপিয়ান।

তাকসিম খানের উদ্যোগে করা চুক্তি অনুযায়ী ৬০ দিনের জন্য জ্যঁ ক্লদ সেরোপিয়ান পাবেন ১১ লাখ ৩৪ হাজার ৭৭৪ মার্কিন ডলার বা ৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। গড়ে দৈনিক ১৫ লাখ টাকার বেশি। পরামর্শক ১৩ দফা বাংলাদেশে আসা-যাওয়ায় আকাশে থাকবেন ১৫ দিন। সেই সময়টিতেও প্রতিদিন পাবেন ১৫ লাখ টাকা।

জানা যায়, পরামর্শক, জ্যঁ ক্লদ, প্রথম বছরে প্রতি ২ মাস পর অথ্যাৎ ৬ দফায় ৫ দিন করে মোট ৩০ দিন। পরের বছরে ৩ মাস পর অথ্যাৎ ৪ দফায় ৫ দিন করে ২০ দিন এবং তৃতীয় বছরে ৬ মাস পর ২ দফায় ৫ দিন করে ১০ দিনসহ মোট ৬০ দিন কাজের বিনিময়ে পাবেন সাড়ে ৯ কোটি টাকা। মজার ব্যাপার বিমান ওঠা থেকে শুরু হবে তার দিন গণনা।

এখানেই শেষ নয়। সাড়ে ৯ কোটি টাকায় নিয়োগকৃত পরামর্শক জ্যঁ ক্লদ সেরোপিয়ানকেই দেয়া হয়েছে প্রকল্পের যন্ত্রাংশ কেনার দায়িত্ব। সেক্ষেত্রে তিনি বাড়তি পাবেন আরও ৬ শতাংশ।

সর্বোচ্চ ২ কোটি টাকা সেবামূলক কাজ অনুমোদনের এখতিয়ার আছে ঢাকা ওয়াসা’র এমডি’র। তাই পরামর্শক নিয়োগকে ওর্য়াকস বা ভৌতকাজ হিসেবে দেখান তিনি। যা পিপিআরের লংঘন।

ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান বলেন, এখানে কোন আইনের ব্যতয় হয়নি।

এই ব্যয়বহুল চুক্তিটি ২০১৮ সালে সই করে ঢাকা ওয়াসা শেষ হবে এবছরের ডিসেম্বরে। ইন্ডিপেন্ডেন্ট।



Topic:


Leave your comment here:


Most Popular News
Top