বালুমহল : শুনানি না হওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম স্থগিতে লিগ্যাল নোটিশ
Published:
2021-06-11 19:09:44 BdST
Update:
2024-05-15 09:52:13 BdST
উকিল নোটিশের পর এবার সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ১ নং বালুমহালের পুনঃইজারা স্থগিত করে ২৭ জুন পর্যন্ত টাকা পরিশোধের সময় দেওয়ার সিদ্ধান্তকে অবৈধ, বেআইনী ও অসৎ উদ্দেশ্যমূলক হিসেবে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দাখিল করেছেন বালুমহালের ইজারায় অংশগ্রহণকৃত দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা যথাক্রমে মোঃ রাজিবুল হাসান রাজিব ও ধনেশ পত্র নবীশ।
সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশন, জেলা প্রশাসন নেত্রকোনা ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে বিবাদী করে দায়ের করা এই রিটের পর এখন শুনানি না হওয়া পর্যন্ত আইন অনুযায়ী এই বালুমহালের কোনো কার্যক্রম চালাতে পারবে না জেলা প্রশাসন।
এ ব্যাপারটি অবগত করে দিয়ে ইতিমধ্যে নেত্রকোণা জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে বৃহস্পতিবার বিকেলে।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে উপস্থিত থেকে এই রিট দায়ের করেন বাদী মোঃ রাজিবুল হাসান ও ধনেশ পত্র নবীশ । এর আগে গত মঙ্গলবার সুপ্রীম কোর্টের বিজ্ঞ দুইজন আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ূন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওসার এ মামলার বাদিদের কাছ থেকে বিস্তারিত বিবরণ শুনে সমস্ত অনিয়ম ও বেআইনী বিষয়গুলোকে দৃষ্টিতে এনে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
উকিল নোটিশ প্রেরণের পর একদিন পর্যবেক্ষণ দেখে বৃহস্পতিবার বিকেলে এ রিট পিটিশন দাখিল করা হয় ।
উল্লেখ্য গত এপ্রিলে ১ নং বালুমহালের ইজারায় অঞ্জন সরকার লিটন, রাজিবুল হাসান ও ধনেশ পত্র নবীশ এই মোট তিনজন অংশগ্রহণ করলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে অঞ্জন সরকার লিটনের নামে ১ নং বালুমহাল ইজারা বরাদ্দ হয়। কিন্তু নির্ধারিত ৭ দিনের মধ্যে সমুদয় টাকা পরিশোধের জন্য চিঠি প্রেরণ করা হলে টাকা পরিশোধ করতে পারেনি ইজারাদার কর্তৃপক্ষ। আইন বহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত আরো ১৩ দিন সময় দেওয়ার পরও টাকা পরিশোধ করতে না পারলে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক অঞ্জন সরকার লিটনের নামে ইজারা বাতিল ও গৃহীত দরের ২৫% হিসেবে ১৬ কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করে ও পুনঃ দরপত্রের আহবান করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জেলা প্রশাসক।
ইজারা বাতিল হওয়ায় সংক্ষুব্ধ হয়ে বিভাগীয় কমিশনার বরাবর আপিল করলে বিভাগীয় কমিশনার বাতিল ঘোষিত ইজারাদারকে ২৭ জুন পর্যন্ত টাকা পরিশোধ করতে সময় দেয়, যা সম্পূর্ণ অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে করেছে বলে উকিল নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর পরবর্তী স্টেপ হিসেবে পুনঃদরপত্রের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও জামানত বাজেয়াপ্তের চিঠি ইস্যু হওয়ার পর রিটেন্ডার কার্যক্রম স্থগিতকরণ ও টাকা পরিশোধের জন্য ২৭ জুন পর্যন্ত সময় দেওয়ার সিদ্ধান্তকে অবৈধ মর্মে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ১ নং বালুমহালের টেন্ডারে অংশগ্রহণ করে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা মোঃ রাজিবুল হাসান ও তৃতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা ধনেশ পত্র নবীশের যৌথভাবে রিট করেন।
Topic:
Leave your comment here: