Dhaka Tuesday, April 30, 2024

বিবাহিত,চাঁদাবাজ ও মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে ভাষানটেক ছাত্রলীগ


Published:
2021-08-02 19:09:23 BdST

Update:
2024-04-30 06:56:12 BdST

ঢাকা মহানগর উত্তরের অন্তর্গত ভাসানটেক ছাত্রলীগের কমিটিতে গঠনতন্ত্র অমান্য করে মামলার আসামী,চাঁদাবাজ ও বিবাহিত দিয়ে চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

গত চার বছর আগে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহম্মেদের স্বাক্ষরিত এক প্যাডে ভাষানটেক থানা শাখা ছাত্রলীগের সদস্যের একটি কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।

কমিটিতে আল আমিন পলাশকে সভাপতি ও কামরুজ্জামান নিটলকে সাধারণ সম্পাদক পদে রেখে ভাসানটেক থানার সাত সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। স্থাণীয় সূত্রে জানান, পলাশ ও নিটলের বিরুদ্ধে ভাসানটেক থানায় ফৌজদারি অপরাধের দায়ে মামলা রয়েছে। এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক নিটল একাধিক বিয়ে করার অভিযোগ রয়েছে।

ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র মোতাবেক ফৌজদারি অপরাধের মামলার আসামি ও বিবাহিতদের ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসার সুযোগ নেই। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভাসানটেক থানার কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন এই নিয়ম তোয়াক্কা করেনি।

কমিটির সভাপতি পলাশের বিরুদ্ধে ভাসানটেক থানায় দুটি মামলা রয়েছে। ২০১৩ সালের ১০ জুলাই ও ২৩ জুন ১৪৩, ৩৪৭, ৪৪৮ ধারায় ওই দুটি মামলা করা হয়। নিটলের বিরুদ্ধে মাদক আইনে ভাসানটেক থানায় ২০১৪ সালের ২৫ জুন একটি মামলা হয়। মামলায় কারাভোগের পর জামিনে বেরিয়ে আসেন নিটল। তিনি বিয়েও করেছেন।

এছাড়া, স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকায় সভাপতি পলাশের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন সাচ্চুর নাম ভাঙ্গিয়ে দখল চাঁদাবাজি বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে প্রায়ই গুলির ঘটনা ঘটছে। এরকম সংবাদ গণমাধ্যমে উঠে এসেছে, অনেকেই ভয়ে সভাপতি পলাশের ক্যাডারদের হাতে চাঁদার টাকাও তুলে দিচ্ছেন নীরবে। চাঁদা না দিলে পরিবারের সব সদস্যকে গুলি করে হত্যার ভয় দেখানো হয়। প্রিয়জন হারানোর ভয়ে থানা-পুলিশও করেন না অনেকেই। স্থানীয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এছাড়াও, তৎকালীন কাফরুল থানার আওতাধীন ৯৫ নং (বর্তমানে ভাষানটেক থানা) ওয়ার্ড ছাত্র দলের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলো পলাশ। এ সময় ছাত্র দলের সকল সভা-সমাবেশে সরব উপস্থিতি ছিলো তার। তবে ছাত্রদলে কোন পদ না পাওয়ায় বল পাল্টে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যোগ দিয়েই ছাত্রলীগ সভাপতি বনে যান। সভাপতি হওয়ার পরপর থেকেই বেপরোয়া হয়ে উঠেন পলাশ, করেন না কোন সাংগঠনিক  নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা ।

ভাষানটেক থানার সিংহভাগ এলাকা জুড়ে বস্তি হওয়ায় মাদকের একছত্র আধিপত্য বিস্তার শুরু করে। পাশাপাশি জমি দখল ও চাঁদাবজি তো আছেই।

 



Topic:


Leave your comment here:


Most Popular News
Top