দুই ম্যাজিস্ট্রেটের পরকীয়া প্রেম, অসহায় স্ত্রী সন্তান!
Published:
2020-10-16 22:55:30 BdST
Update:
2024-12-13 14:01:30 BdST
সারোয়ার সালাম ও নাসরীন চৌধুরী। দুইজনই বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ৩৪ ব্যাচের কর্মকর্তা। উভয়েরই সংসার আছে। তারপরও অবৈধ প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন। অন্যদিকে অথৈই সাগরে পড়েছেন সারোয়ার সালামের স্ত্রী ও একমাত্র সন্তান। মন্ত্রিপরিষদের তদন্তে এই ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। সারোয়ার আলমের বিরুদ্ধে চলছে বিভাগীয় মামলা । তারপরও সারোয়ার সালাম চাকরিতে বহাল আছেন। খাদিজা ও সারোয়ার আলম ২০১৬ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন।
ভিপি নুরুর অর্থ আত্মসাৎসহ নানান কেলেংকারী নিয়ে মুখ খুললেন মামুন
সারোয়ার সালাম বর্তমানে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় এবং নাসরিন চৌধুরী মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে কর্মরত আছেন। উভয়েই ফেনী জেলায় সহকারি কমিশনার থাকার সময় সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘হাতিয়ার সহকারি কমিশনার (ভূমি) সারোয়ার সালামের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী কর্তৃক আনীত স্ত্রী-সন্তানের অধিকার বঞ্চিত, স্ত্রীকে মানসিকভাবে নির্যাতন, বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক ও তালাক প্রদানের হুমকির অভিযোগগুলোর প্রাথমিক সত্যতা রয়েছে।
’ প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ‘যৌতুক দাবি করা অভিযোগে ঢাকার মহানাগর হাকিম আদালতে মামলা (৪৬৪/১৯) বিচাররাধীন আছে।’ এই অবস্থায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ থেকে জনপ্রশাসন সচিবকে গত ২৫ মার্চ অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সারোয়ারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করার আগে আইনগত বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে মতামত চেয়েছিল। আইন মন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পাঠানো মতামত অনুযায়ী, ‘সরকারি চাকুরী আইন-২০১৮-এর ২৫(১) উপধারা অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মচারির বিরুদ্ধে কোনো আদালতে একই বিষয়ের উপর ফৌজদারি কার্যধারা বা আইনগত কার্যধারা বিচারধীন থাকিলে, তাহার বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্যধারা নিষ্পত্তির কোন বাধা থাকিবে না’। তাই ‘সারোয়ার সালামের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী কর্তৃক আনীত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফৌজদারি কার্যধারা অব্যাহত থাকার কারণে পাশাপাশি বিভাগীয় মামলা দায়েরের আইনগত বাধা নেই।’ এই বিষয়ে মন্তব্য জানতে সারোয়ার আলমের কাছে ফোন করলে এই বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করবো না।’
খাদিজা আক্তারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে মাঠ প্রশাসন থেকে আসা তদন্ত অনুযায়ী, ‘সারোয়ার আলম ও নাসরিন চৌধুরী পরস্পর সহকর্মী। তারা উভয়েই বিবাহিত হওয়া সত্বেও একে অপরের সঙ্গে পরকীয়া ও অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ বিষয়ে অভিযোগকারী তার স্বামীকে বুঝানো স্বত্বেও কোন সুফল পানি। তিনি প্রায়ই স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।’
খাদিজা আক্তার বলেন, ‘ফেনীতে থাকার সময় তাদেরকে হাতেনাতে ধরি। তখন নাসরিন চৌধুরী আমাকে হুমকি দিয়ে বলে, আমরা ম্যাজিস্ট্রেট, যা ইচ্ছা তাই করবো।’ খাদিজা আরো জানান, ‘নাসরিন চৌধুরীর স্বামী বিদেশে থাকেন। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় পারিবারিক জীবন-যাপন করেন না।’ মন্তব্য জানতে নাসরিন চৌধুরীকে অন্তত পাঁচবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি। পরিচয় জানিয়ে ফোন ধরার জন্য এসএমএসে অনুরোধ জানালেও নাসরিন চৌধুরীর প থেকে সাড়া মেলেনি।
Topic:
Leave your comment here: