Dhaka Sunday, April 28, 2024

শিশু হাসপাতালে নার্স নিয়োগ

পরীক্ষার্থীকে উত্তর বলে দিলেন স্বাচিপ নেতা


Published:
2020-09-20 14:53:08 BdST

Update:
2024-04-28 04:49:32 BdST

ঢাকা শিশু হাসপাতালে নার্স নিয়োগ পরীক্ষায় একজনকে প্রশ্নের উত্তর বলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাচিপ নেতা ডা. জহিরুল ইসলাম লিটনের বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার সকালে শিশু হাসপাতালের পুরনো ভবনের ‘করিডর ২’ নম্বর হলে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত লিটনের বক্তব্য নিতে  থেকে ফোন করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার নাম করে তুলে নেওয়ার হুমকি দেন।

ওই পরীক্ষার হলের দায়িত্বে থাকা ডা. রেজওয়ানা রিমা  নিশ্চিত করেন জহিরুল ইসলাম লিটন করিডর ২-এ কোনো দায়িত্বে ছিলেন না। রেজওয়ানা রিমা বলেন, করিডর ২-এ আমরা চারজন দায়িত্বে ছিলাম। ঘটনার সময় একটু ব্যস্ত থাকায় বিষয়টি লক্ষ করতে পানিনি।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, শনিবার সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত শিশু হাসপাতালের নার্স নিয়োগের এমসিকিউ পরীক্ষা হয়। এ সময় করিডর ২-এ একজনকে অনেকক্ষণ ধরে প্রশ্নের উত্তর বলে দিচ্ছিলেন ডা. লিটন। পরীক্ষার্থী ও চিকিৎসকরা তখন বিব্রত হন। তবে লিটন স্বাচিপ নেতা হওয়ায় কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস দেখাননি। তিনি সবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। দায়িত্বে থাকা আরেক চিকিৎসক উত্তর বলার সময় গোপনে তা ভিডিও করেন।

এক মিনিট এক সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি দেশ রূপান্তরের হাতে এসেছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, ওই রুমের দায়িত্বে থাকা ডা. রেজওয়ানা রিমা সামনে চেয়ারে বসে আছেন। ডা. লিটন পরীক্ষার হলের মাঝামাঝি বোরকা পরিহিত এক পরীক্ষার্থীর পাশে দাঁড়িয়ে নিচু হয়ে কিছু একটা বলছেন। আর ওই পরীক্ষার্থী উত্তরপত্রের বৃত্ত ভরাট করছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. জহিরুল ইসলাম লিটন এ প্রতিবেদককে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আপনাকে এখনই রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা ফোন করবে। তারা আপনাকে তুলে নেবে। ফালতু বিষয়ে ফোন করার সাহস পান কীভাবে। এই প্রথম কেউ ফোন করার সাহস দেখাল। আমি প্রশ্নের উত্তর বলেছি এর কোনো প্রমাণ আছে?’

এরপর ফোনটি নিয়ে অন্য একজন চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে এ প্রতিবেদককে নিউজ না করার জন্য বলেন। তিনি বলেন, ‘এটা (অভিযোগ) সত্য নয়। আপনি যাকে ফোন দিয়েছেন তিনি স্বাচিপ নেতা। পরিচালককে বললে এমনিতেই একটা-দুটো নিয়োগ দেবে তাকে। নিউজ করলে আপনারও সমস্যা হবে, যে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে, তারও সমস্যা হবে।’

এ বিষয়ে জানতে ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক ডা. সৈয়দ শফি আহম্মেদের ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি তা ধরেননি। উপপরিচালক ডা. প্রবীর কুমার সরকার দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমি সন্ধ্যার দিকে সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। এ বিষয়টি আমি কাল (রবিবার) পরিচালককে অবহিত করব।’



Topic:


Leave your comment here:


Most Popular News
Top